বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে পদত্যাগ করার পর থেকে চলমান আন্দোলনে সারা দেশে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উপর ইতিহাসের জঘন্য-বর্বরতা, গণহত্যা ও ৪৫০ টির বেশী থানায় ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে হাজার হাজার পুলিশ সদস্যকে আহত এবং শতাধিক সদস্যকে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীর বীর সদস্যরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার না করা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা হুমকির মুখে থাকায় ও পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং উল্লিখিত বিষয় ও পরিস্থিতিতে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কোনো দিক নির্দেশনা না থাকায়, পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তায় উদ্যোগ গ্রহন না করায় ও আমাদের ১১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আজ ৬ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষনা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের অধঃনস্থ কর্মকতাবৃন্দ।
পুলিশের এগারো দফা দাবি :
১। বর্তমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল পুলিশ ভাইয়েরা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের কর্মবিরতি ঘোষণা।
২। পুলিশ কোন সরকারের অধীনে কাজ করবে না নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে জনগণের সেবা করবে।
৩। পুলিশ কোন এমপি মন্ত্রী কে প্রোটোকল দিবে না।
৪। পুলিশ কোন সিনিয়র অফিসার কে প্রোটোকল দেবে না।
৫। পুলিশ ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করবে না।
৬। পুলিশের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে দ্রুত পদোন্নতি পায় ঠিক সেইভাবে নিম্ন কর্মচারীরিকেও দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। পুলিশের ২০ দিন ছুটি বৃদ্ধি করে ৬০ দিন করতে হবে।
৮। অফিসারের মত কনস্টেবলদের কেউ সোর্স মানি দিতে হবে।
৯। পুলিশকে প্রত্যেক মাসে ১০ তারিখের মধ্যে টি-এ ডি-এ বিল নিশ্চিত করতে হবে।
১০। পুলিশের ঝুঁকিবাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
১১। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের নিজ রেঞ্জে বদলি করতে হবে। যেমন এক কনস্টেবলের বাড়ি নেত্রকোনা থাকে বদলি করা হয় চট্টগ্রাম রেঞ্জে। এটা অমানবিক।